প্রকাশিত: Wed, Jun 21, 2023 9:07 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 2:22 PM

উত্তরের জনপদে নদীভাঙন তীব্র হচ্ছে, পানি বেড়েছে সিরাজগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে

মুরাদ হাসান: কুড়িগ্রামে পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত সবগুলো পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। পানি ঢুকে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল গুলোতে এ পর্যন্ত ২১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলা প্রতিনিধি শাহনাজ পারভীন জানান, বন্যার্তরা বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকটে পড়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় তীব্র হয়ে উঠছে গবাদিপশুর খাদ্য সংকটও। 

নীলফামারী প্রতিনিধি স্বপ্না আক্তার জানান, বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১০সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার দশমিক ৫সেন্টিমিটার নিচে । 

ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট থেকে মামুনুর রশিদ জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৫টি উপজেলার নদীবেষ্টিত এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। 

সিরাজগঞ্জ থেকে সোহাগ হাসান জানান, সিরাজগঞ্জে সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার সদর, চৌহালীর এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুদিনে শাহজাদপুর উপজেলারকৈজুরি ইউনিয়নের পাঁচিল গ্রামে অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর ও অর্ধশত গাছপালানদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

কিশোরগঞ্জ থেকে মো. ফারুকুজ্জামান জানিয়েছেন, পানিবৃদ্ধির কারণে হাওরের সঙ্গে জেলার করিমগঞ্জের বালিখোলা ও চামড়াঘাট, মিঠামইনের শান্তিপুর ফেরিঘাট, ইটনার বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি চলাচল। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব